ডিসি অফিসে চলে আদালতের বিচারকাজ বারান্দায় এজলাস,জমি অধিগ্রহণ হলেও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় নাটোরে জুডিশিয়াল আদালত নির্মাণ হয়নি। এর ফলে জেলা- প্রশাসক কার্যালয়ের ভবন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভবনে চলছে বিচারকাজ। এ ছাড়া জজকোর্টের বারান্দায় টিন দিয়ে করা হয়েছে এজলাস। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আইনজীবী ও বিচারপ্রত্যাশীরা।জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ রশীদি বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের কক্ষগুলো ছোট হওয়ায় বিচারপ্রার্থীদেরবারান্দায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

ডিসি অফিসে চলে আদালতের বিচারকাজ বারান্দায় এজলাস
এ ছাড়া আইনজীবীদেরও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।জজকোর্টের জিপি আসাদুল ইসলাম বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা জজকোর্টের কক্ষ ব্যবহার করায় জজকোর্টের বিচারকদেরও কক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে একই কক্ষের সকালে এক বিচারক ও বিকালে আরেক বিচারক আদালত পরিচালনা করছেন।নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট মালেক
শেখ বলেন, ২০১৫ সালে নাটোর জেলা -প্রশাসকের কার্যালের পাশেই জুডিশিয়াল বিচারকদের জন্য ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। আইনজীবী সমিতি অনেকবার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও কোনো ফল পায়নি।নাটোর জজকোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আইনমন্ত্রী নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালত নির্মাণের জন্য আশ্বাস

দিলেও এখনও কোনো অগ্রগতি দেখতে পাননি।জেলা ও দায়রা জজ আদলতের ভবনে ৫টি ও জেলা- প্রশাসকের ভবনে দুটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।

আরও পড়ুন:

১ thought on “ডিসি অফিসে চলে আদালতের বিচারকাজ বারান্দায় এজলাস”